গজারিয়ায় সরুও নিচু সেতু : গাড়ি ও নৌ-যান চলাচলে দুর্ভোগ
আল আমিনঃ
একটি সরু ও নিচু সেতুর কারণে দুর্ভোগে পড়েছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়াবাসী। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন জামালদি বাস ষ্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন ওই সেতুটি দিয়ে বড় ভাটেরচর, টেঙ্গারচর সড়ক হয়ে উপজেলা পরিষদ ও রসুলপুর ফেরিঘাটে যাতায়ত করে কয়েক হাজার মানুষ। চলে পন্যবাহী নানা পরিবহন। তবে যানবাহনের চাপ বাড়লেই সরু স্টিল ব্রিজের কারণে ওই রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। আবার বর্ষার পানি বাড়লে ব্রিজটির নীচ দিয়ে নৌযান চলাচলও ব্যাহত হয়। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্ররিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চেষ্টা তদবিরের পরও সেতুটি নতুন করে নির্মাণের কাজ ঝুলে আছে।
গজারিয়ায়ার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ‘জামালদি টেংগারচর ইউপি অফিস ভায়া বড় ভাটেরচর’ এর ১৭৫ মিটার চেইনেজে ঝুঁকিপূর্ণ, সরু, নিচু, পুরানো ১৫০ মিটার আরসিসি ষ্টীল ব্রিজের স্থলে প্রস্তাবিত ‘১৫০ মিটার একটি নতুন আরসিসি প্রিস্ট্রেস গার্ডার ব্রিজ’ জরুরিভিত্তিতে নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হলেও নানা কারণে তা বাস্তবায়নে জটিলতা তৈরী হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র বলছে, মেঘনা ব্রিজ সংলগ্ন জামালদি বাস ষ্ট্যান্ড থেকে রাস্তাটি গজারিয়া উপজেলা পরিষদ হয়ে রসুলপুর ফেরিঘাট, মুন্সীগঞ্জ জেলা এবং চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর তথা চাঁদপুর জেলার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। প্রতিদিন শত শত সিএনজি, মিশুক, পিকআপসহ ব্রীজ দিয়ে অসংখ্য গাড়ি চলাচল করে। তাছাড়া ও এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি প্রশস্ত না থাকার কারণে দুইটি সিএনজি একসাথে আসা-যাওয়া করতে পারেনা।ফলে চরম দূর্ভোগে পরেন গজারিয়াবাসী। জনস্বার্থে শিল্পকারখানা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এবং উপজেলার সঙ্গে নিবীড় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এখানে দ্রুততম সময়ে একটি প্রসস্থ, উচু ব্রীজ নির্মাণ এলাকার সব শ্রেণীপেশার মানুষের দাবি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় পাঁচ বছর আগে মোনেম গ্রুপের মোটর শিল্প উদ্বোধনকালে গজারিয়া উপজেলাকে ‘জাতীয় অর্থনৈতিক শিল্পাঞ্চলের গেটওয়ে’ আখ্যা দেন। গজারিয়া উপজেলায় সরকারি ও বেসরকারি দুইটি ইপিজেড, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্যারাগণ গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, আনোয়ার গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, মোনেম গ্রুপ, কাজী ফার্ম, খাঁন ব্রাদার্স, জেএমআই-জাইকা, চায়না নিউ হোপ, মেঘনা গ্রুপ, জাহাজ শিল্প, সিমেন্ট শিল্প, স্টীল মিল, পেপার মিল, মোটর শিল্পসহ ছোট-বড়, দেশী-বিদেশী অনেক প্রতিষ্ঠান করয়েছে।
সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী আরজুরুল হক বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে উপজেলা পরিষদ যোগাযোগে এটি অন্যতম প্রধান রাস্তা। এই রাস্তার শরুতেই সুরু ও নিচু ষ্টীল ব্রীজটির কারণে বিভিন্ন ধরনের পরিবহন চলাচলে দুর্ভোগ হচ্ছে। ব্রীজ নীতিমালা ২০১৮ প্রঞ্জাপন জারি হয়েছে। ব্রীজটি পুননির্মাণে১২ থেকে ১৩ কোটি টাকা বাজেট অনুমোদন প্রয়োজন আছে।