বাংলাদেশী পণ্যের জনপ্রিয়তা বাড়ছে অষ্ট্রেলিয়ার বাজারে
ডিউটি ও কোটামুক্ত সুবিধা থাকায় প্রতিবছর অষ্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের বাজার বাড়ছে সাড়ে ১৬ শতাংশ হারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বাজারে রয়েছে প্রচলিত ও অপ্রচলিত- উভয় শ্রেণির পণ্যেরই রপ্তানি সম্ভাবনা। যাকে কাজে লাগাতে দরকার দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ও পণ্যের গুণগত মান।
এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বের দেশ অষ্ট্রেলিয়া। যার চারিদিকেই বিভিন্ন সাগর-মহাসাগর। মাইলের পর মাইল সবজ পাহাড় আর পতিত জমি, যার বেশিরভাগেই এখনো গড়ে উঠেনি কোনো বসতি। তবে সুপরিকল্পিত উদ্যোগের ফলে সিডনি ও মেলবোর্ন রূপ পাচ্ছে উদীয়মান অর্থনীতির নতুন নগরী হিসেবে। অষ্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কটা বাড়তে শুরু করে আশির দশক থেকে। দেশটিতে চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, সিরামিকস, হোমটেক্সটাইল ও চামড়াজাত পণ্যের। আর, অষ্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা হয় সবজিজাত, টেক্সটাইল ও প্রাণিজ নানা পণ্য। আসছে মেশিনারিজ নানা উপকরণও।
পরিসংখ্যান বলছে, তিন দশকের ব্যবধানে দেশটিতে বাংলাদেশী পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ২৪ মিলিয়ন থেকে ৭১২ মিলিয়ন ডলারে। বেড়েছে আমদানিও, যার পরিমাণ এখন ৮৪৩ মিলিয়ন ডলার। রয়েছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বিপুল সম্ভাবনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে নজর দিতে হবে নতুন বাজারে। বিশ্বপ্রতিযোগিতায় টিঁকে থাকতে যেখানে কৌশল পণ্যের গুণগত মান। আর অষ্ট্রেলিয়ান বিনিয়োগ টানতে নিশ্চিত করতে হবে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ। বাণিজ্যমন্ত্রণালয় বলছে, কোটা ও ডিউটিমুক্ত সুবিধা থাকায় অষ্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশী পণ্যের বাজার বাড়ছে সাড়ে ১৬ শতাংশ হারে।