‘#মি টু’ নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশের বাঁধন
ছোটবেলায় জন্মদিন একভাবে পালন করা হতো। এখন জন্মদিনে কেমন লাগে?
জন্মদিনে সবাই শুভেচ্ছা জানায়, বেশ ভালো লাগে। বুড়ি হয়ে গেছি তো, তাই গিফট পাই না (হাসি)। তবে এবার জন্মদিনটা একটু আলাদা।
কেন?
এত বছর পর আমার উপলব্ধি হয়েছে, নারী হওয়ার চেয়ে মানুষ হয়ে ওঠা জরুরি। এই উপলব্ধি হয়তো আমাদের সমাজ একটা মেয়েকে করতে দেয় না। আমার মনে হয়েছে এত দিন একজন নারী হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি, সেটা ভুল ছিল। উচিত ছিল আগে মানুষ হওয়ার চেষ্টা করা। এটা কিন্তু সমাজ আমাকে শেখাতে পারেনি। সমাজ আমাকে শুধু নারী হতে শিখিয়েছে। এ কারণে আমি নিজে অনেক যন্ত্রণা সহ্য করছি, সবকিছু চেপে গেছি। আমার সঙ্গে অন্যায় হলেও চুপ ছিলাম। ভেবেছি এসব বললে সমাজ আমাকে খারাপ বলবে। প্রতিবাদ করছি অনেক পরে। চার বছর পরে বলছি, আমার ডিভোর্স হয়েছে। এসবের মুখোমুখি হতে পারিনি শুধু সমাজের কথা ভেবে। ভাবতাম, এই ডিভোর্সের কথা কেউ জানলে ভবিষ্যতে আমার মেয়ের বিয়ে হবে না। একটা সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বলতে হবে। সমাজের সবাইকে হয়তো বদলাতে পারব না, আমি তো আমাকে বদলাতে পারব। আমার বদলটা আমার সন্তানের মধ্যে কোনোভাবে দিতে পারব। যদিও জানি না, সে ভবিষ্যতে কী করবে। কিন্তু আমার জীবনের কিছুটা প্রভাব তার জীবনে থাকবেই। চেষ্টা করব আমার মেয়ে যেন একজন নারী নয়, মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।