নিজস্ব প্রতিবেদক (মুন্সীগঞ্জ নিউজ ২৪ ডট নেট) ঃ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার গুয়াগাছিয়ায় ইউনিয়নে সন্ত্রাসী ফারুক – মানছুর গংদের বখাটেপনায় অতীষ্ঠ গুয়াগাছিয়াবাসী। এলাকাবাসী ও বিশেষসুত্রে জানা যায় গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া বালুচরের মানিক মিয়ার বখাটে ছেলে ফারুক(২৫) ও মৃত কলুমুল্লাহর বখাটে ছেলে মানছুরের(৩৮) মাদক ব্যবসা, মেয়েদেরকে ইভটিজিং, চুরি,ডাকাতি ও ছিনতাই সহ নানা অপকর্মে এলাকার মানুষ অাজ অতীষ্ঠ। ফারুক ও মানছুর লোকদেখানো ডিসলাইনের মিস্ত্রির কাজ করার ভান করলেও প্রকৃতপক্ষে এর অাড়ালে নানা অন্যায়, অবৈধকাজ ও অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ডিস লাইনের কাজ করার জন্য বাড়িতে বাড়িতে যাওয়ার সুবাদে তারা গ্রামের বিভিন্ন বাড়ির মেয়েদের ফোন নাম্বার যোগাড় করে তাদেরকে সুকৌশলে ফাঁদে ফেলাই তাদের মুল লক্ষ্য ।এরপর কৌশলে মেয়েদের কথা রেকর্ড করে ও তাদের ছবি নিয়ে মেয়েদেরকে জিম্মি ও ব্লাকমেইল করাই তাদের কাজ। তাদের এ হীন অপকর্মের শিকার হয়ে অনেক অভিবাবক মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে অাগেই বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। এ রকম বেশ কয়েকটি ঘটনার প্রমাণ এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। মন মান- সম্মানের ভয়ে ভদ্রঘরের মেয়েরা মুখ খুলছেনা। এর ফলে কুলাঙ্গার ফারুক ও মানছুর মেয়েদেরকে ভয় দেখিয়ে ব্লাকমেইল করে টাকা পয়সা অাদায় করে থাকে। তারা দৃশ্যমান কোন চাকরি- বাকরি, কাজকর্ম না করেও বা কোন বৈধ ইনকাম সোর্স না থাকলেও সারা বছর বসে বসে, গায়ে বাতাস লাগিয়ে বাবুয়ানা করে বেড়ায়। প্রতিবেদনে প্রকাশ, ফারুক গংদের নামমাত্র একটি মুদি দোকান থাকলেও অাসলে তার অাড়ালে চলে জুয়া ও মাদকব্যবসা। এ দোকানেই চলে গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন সহ নেশাজাতীয় মাদকের রমরমা ব্যবসা। ফারুক, মানছুর ও ফারুকের ভাই অাউয়াল এ অবৈধ কার্যকলাপ সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে। এ দোকানেই সমস্ত অপকর্ম ও মাদকের অাখড়া। পুলিশ প্রশাসন বা অাইনশৃঙখলা বাহিনী সুযোগবুঝে সঠিক সময়ে এ দোকানে অভিযান চালালেই সত্যতা মিলবে। মানছুর নিজেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পরিবেশে কোথাও মেহেদী হাসান অাবার পারভেজ নামেও নিজেকে পরিচয় দেয়। প্রকাশ, বখাটে মানছুর ও ফারুক দিনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কমপক্ষে ১৬-১৮ ঘন্টাই এ দোকানে অাড্ডা দেয়।তারা জুয়া ও মাদকে অাসক্ত।মানছুরকে ধরে মাদকের “ডোপ টেস্ট” করলেই সত্যতা পাওয়া যাবে। রাত গভীর হলেই তারা জুয়া ও মাদকের রমরমা অাসর বসায়। এলাকার স্কুল- কলেজগামী ছেলেরা অাস্তে অাস্তে তাদের এ ‘রোমাঞ্চকর’ মাদকের ভয়াল থাবায় জড়িয়ে লেখাপড়া বাদ দিয়ে বখে যাচ্ছে। এ অবস্হা চলতে থাকলে সমাজ ধীরে ধীরে অধঃপতনের দিকে যাবে। তারা অতি গোপনে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন, র্্যব ও অাইনশৃঙ্খলা বাহিনির দৃষ্টি দেওয়া জরুরি। উল্লেখ্য – ফারুক ও তার পরিবার মার্ডারের মামলা সহ নানা অপকর্মের জন্য উপজেলার বাঘাইকান্দি থেকে ৭২ ঘন্টার নোটিশে বিতাড়িত হয়ে গুয়াগাছিয়া এসে অাশ্রয় নিয়েছে। পরবর্তী সংবাদে অাসছে বিস্তারিত —-।