নিজস্ব প্রতিবেদক( মুন্সীগঞ্জ নিউজ ২৪ ডট নেট) ঃ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মাথাভাঙ্গা (বড় পাচানি) গ্রামে পবিত্র ঈদের দিন সকাল ১১টায় পূর্বশত্রুতা, আধিপত্য বিস্তার ও আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইয়াছিনের বসত ঘরে প্রবেশ করত পিস্তল চাপাতি রামদা,কাঠের ডাসা, লোহার পাইপ দ্বারা এলোপাতাড়ি বাইরাইয়া মাটিত ফেলিয়া চাপাতি দিয়ে কোপাইয়া বাম হাতের কনুইয়ের নিচের অংশ হাত হতে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী ।
এলাকাবাসী মামলার এজাহার ও বাদী সূত্রে জানা যায় উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মৃত মোতালেব মোল্লার ছেলে মোকসেদ (৩৫)সবুজ (৩০)মাথাভাঙ্গা বড পাচআনি গ্রামের ইসমাইল বেপারীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৪৫),মৃত মোজাফ্ফর বেপারীর ছেলে আমজাদ(৩২),ইসমাইল বেপারীর ছেলে বিল্লাল(৩০) ,মৃত বাতেনের ছেলে জব্বার(৪৭) ,জব্বারের ছেলে কালাম(২৩), সিরাজ মিয়ার ছেলে মোস্তফা(৩২),মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে মজনু(৩২),মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে কাদির(২৮)সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জন হাতে পিস্তল,রামদা,চাপাতি,লোহার রড, কাঠের ঠাসা,শাবল,লোহার পাইপ ইত্যাদি নিয়ে ইয়াছিনের বসত ঘরে প্রবেশ করিয়া ইয়াছিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে, ইয়াছিনকে পাইয়া অতর্কিত হামলা করিয়া এলোপাথাড়ি কোপাইয়া বামহাতের কনুইয়ের নিচ হতে হাত একবারে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং বাম পায়ের হাটুর নীচে ও ডান হাতে কনুইায়ের নীচে কাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে,।এই সময় ইয়াছিন গুরুতর আহত হইয়া অচেতন অবস্থায় মাটিতে পড়িয়া থাকতে দেখিয়া বিবাদীরা ইয়াছিন মারা গিয়াছে ভাবিয়া তাহারা বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি দিয়া আসামীরা ফাঁকা গুলি করিতে করিতে চলিয়া যায়।মামলার বাদী সংবাদ পাইয়া বাড়িতে আসিয়া স্ত্রী ও অন্যান্য লোকদের সহযোগিতায় মূমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস্কে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীর অবস্থা আশংকা জনক দেখিয়া তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসগাতালে জরুরী বিভাগে রোগীর অবস্থা জানতে চাওয়া হলে ঢামেকের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুন্সীগঞ্জ নিউজ ২৪ ডট নেটকে জানান রোগীটি এখনো মূমূর্ষ অবস্থায় আছেন।
অাহত ইয়াছিনের মামা ফজলুর রহমান তদন্ত কর্মকর্তাকে(পুলিশকে) অাসামী অামজাদের বাড়ি
দেখিয়ে দেওয়ার কারনে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে অাসার পর মোজাফ্ফর বেপারীর ছেলে (৩০)শাহিন- ফজলুর রহমান ও তার স্ত্রী সালমাকে মারধর করে গুরুতর জখম করে।আহত ইয়াছিনের বড় ভাই রবিউল আউয়াল বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেছেন যার নং ১৩ তাং ২৬/৫/২০২০। গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মুন্সীগঞ্জ নিউজ ২৪ ডট নেটকে বলেন -মামলা রজু হয়েছে ।আসামী গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এবং এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত আছে।