নিজস্ব প্রতিবেদক (মুন্সীগঞ্জ নিউজ ২৪ ডট নেট) ঃঃ মুন্সীগঞ্জেের গজারিয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ও ফেনসিডিল প্রভৃতি। এসব মাদক ব্যবসায় সহায়তার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী বলেন, পুলিশের সামনেই চলছে মাদক ব্যবসা।
অভিযোগ আছে, উপজেলার ৩০টিরও বেশি স্পটের মাদক কারবারিরা ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা থানায় মাসোয়ারা দেন। উপ-পরিদর্শক মো. মাসুদ রানা এসব মাসোয়ারা নিয়ে থাকেন। মাসোয়ারা তুলেন তার নেতৃত্বে থাকা চার সহকারী উপ-পরিদর্শক। সাবেক গজারিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম জানান, ‘তার তালিকায় থাকা দুই জন মাদক ব্যবসায়ীকে মাদকসহ ধরে এনে মাদক মামলায় চালান দেওয়ায় তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তার তিন দিন পরই তৌহিদসহ কনস্টেবল এমদাদুল হককে বদলী করা হয়।’ সদ্য বদলীীর আদেশ পাওয়া উপ-পরিদর্শক মো. ডালিম ফকির জানান, ‘তিন মাস হলো গজারিয়া থানায় যোগদান করেছি। গত ১০ জুলাই দুই মাদক ব্যবসায়ী ও সাত ডাকাতকে ধরি। উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা তাদের ছয় জনকে ছেড়ে দিতে বলেন। রাজি না হওয়ায় বদলীীর হুমকি দেন। এর তিন দিন পর বদলির আদেশ পাই।’ এক ব্যবসায়ী জানান, ‘মাসুদ রানা তাকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে টাকা দিয়ে রেহাই পাই। কিন্তু আবার ফোন করে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন।’ তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা জানান, ‘তিনি ইন্সপেক্টরশিপ পাশ করা একজন কর্মকর্তা। যে কোনো সময় তার ব্যাচ লেগে যাবে। তাই অন্য অফিসাররা মিথ্যা বলে তার ক্ষতি করতে চাচ্ছেন।’ জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, ‘মাসুদের বিরুদ্ধে অভিযোগটি শুনলাম প্রমাণগুলো নিয়ে আসুন তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’